আকাশে বেশ মেঘ জমেছে।যে কোন সময় মুষলধারে বৃষ্টি নামবে।রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে যেতে শুরু করেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবে মিশুক, ছাতাটা না নিয়ে এসে ভুল করেছে। -সত্যিই কি তাই! না,আসুক বৃষ্টি। নিজেই জবাব দেয়। আজ সে বৃষ্টিতে ভিজবে।অনেক অনেকক্ষন। যতক্ষন খুশী।সেতো বাসা থেকে বেরিয়েছে কোন গন্তব্য নির্ধারণ না করেই। কাজেই ছাতা নিয়ে আসার চিন্তা করেনি সে। তবে একটা কাজ করা যেতে পারে। রোদেলা কমিউনিটি সেন্টারে চলে যাওয়া যেতে পারে। ওখানে বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তাকে দেখে রিতুপা নিশ্চয়ই অবাক হবে। না বৃষ্টিতে ভিজছে বলে নয়। সে বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছে বলে। সেতো বিয়ের দাওয়াত পায়নি। সে যে অনাহুত অতিথি। আর বৃষ্টিতে ভেজা! সেতো কত ভিজেছে। শুধু সে একা নয়। দু’’জনে। টিপটিপ বৃষ্টির মধ্যে দুজনে হাত ধরাধরি করে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে কত হে্টে বেরিয়েছে।রাত্রি জেগে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে মুঠোফোনে কত না কথার মালা সাজিয়েছে দু’জনে। রিতুপা বৃষ্টি খুব ভালবাসে।আচ্ছা ওর হবু স্বামীও কি বৃষ্টি ভালবাসে।হয়তো ,হয়তোবা নয়।ওর স্বামী কি রিতুপাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দিবে? সেও কি রিতুপার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবে ? যদি তার স্বামী তাকে বৃষ্টিতে ভিজতে না দেয়,তাহলে কেন রিতুপা অজানা সেই লোকটিকে বিয়ে করছে! না মিশুক এখন বৃষ্টিতে ভিজছেনা। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। শপিংমলের টিনশেডের নীচে দাঁড়িয়ে আছে।তার মন ভালো নেই। তার মনতো এখন বৃষ্টি ভেজা মন। একা একা বৃষ্টিতে ভিজতে ভাল লাগে না। রাত্রি একটা বাজে। মিশুক ফুটপাত ধরে হাঁটছে। রাস্তায় অনেক পানি জমে আছে।তার পাশ দিয়ে বিয়ের গাড়ির বহর যেতে থাকে।সে থমকে দাঁড়ায়।রাস্তার পানি ছিটকে তার শরীর ভিজিয়ে দিয়ে যায়। গাড়িটাকে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। এটা হয়তোবা রিতুপার বিয়ের গাড়ি। গাড়ির ভিতরে নিশ্চয়ই রিতুপা বসে আছে তার স্বামীর সাথে।শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। রিতুপার হাতটি তার স্বামীর হাতে। মুষলধারে আবার বৃষ্টি নেমে পড়ে।মিশুক এবার ভিজতে থাকে।সে অনুভব করে পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে রিতুপা। সে পিছন ফিরে তাকায় না। বিয়ের সাজে রিতুপাকে নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর লাগছে। পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে রিতুপা। মিশুক হাঁটে না। সে জানে হাঁটলে রিতুপা তাকে ছেড়ে চলে যাবে।তাই সে হাঁটেনা ।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে ।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ
র স্বামী কি রিতুপাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দিবে? সেও কি রিতুপার সাথে বৃষ্টিতে ভিজবে ? যদি তার স্বামী তাকে বৃষ্টিতে ভিজতে না দেয়,তাহলে কেন রিতুপা অজানা সেই লোকটিকে বিয়ে করছে! --------------- মানিক ভাই , আমাদের সমাজ কি এই পর্যন্ত পৌঁছেছে ?
মোহসিনা বেগম
পিছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে রিতুপা। মিশুক হাঁটে না। সে জানে হাঁটলে রিতুপা তাকে ছেড়ে চলে যাবে।তাই সে হাঁটেনা ।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে ।। ------- শেষ লাইন গুলো খুউব ভাল লাগলো আর পুরো গল্পটিও চমৎকার !
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।